শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

শেষ দেখার ইচ্ছে পূরণ হলো না আব্দুল্লাহর

Reading Time: < 1 minute

শেষ দেখার ইচ্ছে পূরণ হলো না আব্দুল্লাহর

শেখ ইমন,ঝিনাইদহ

আব্দুল্লাহ (৫) প্রতিবন্ধী মায়ের সন্তান। সে জানত না কে তার বাবা। তবে মাকে দেখার শেষ ইচ্ছা ছিল তার। শেষ ইচ্ছাটাও হলো না পূরণ। অতৃপ্তির চিরন্তন বেদনা নিয়েই পরপারে পাড়ি জমালো আব্দুল্লাহ। মাকে আর দেখা হলো না তার। তবে শেষ যাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন পালিত মা জোসেদা বেগম। আর ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আব্দুল্লাহর পালিত বাবা আব্দুর রশিদ।

রোববার ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দি এলাকায় মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তারা। এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। যাদের সবার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায়।

জানা যায়, নিহত আব্দুল্লাহ জন্মের পর থেকে মহেশপুর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তের ভৈরবা বাজারপাড়ার আব্দুর রশিদের স্ত্রী জোসেদার কাছে বড় হয়ে আসছিল।

ছোট্ট আব্দুল্লাহ সবার কাছে টোকাই নামেই পরিচিত ছিল। ভদ্র সমাজের মানুষরা যেন ঘৃণার চোখে দেখত আব্দুল্লাহকে। তার পরও আব্দুল্লাহর বিচরণ ছিল মহেশপুরের ভৈরবা বাজারের পাশে ঝুপড়ি একটি ঘরে।

সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হওয়ার পর আব্দুল্লাহকে ভর্তি করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পায় সে। এর পর আব্দুল্লাহকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার পথে ফেরিঘাটে আব্দুল্লাহ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। বিষয়টি জানায় আব্দুল্লাহর সঙ্গে থাকা সংবাদকর্মী রিজভি ইয়ামিন।

উল্লেখ্য, রোববার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর অংশের মাঝকান্দি নামক স্থানে মাইক্রোবাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- মাইক্রোচালক বিল্লাল হোসেন (৩০), মরিয়ম (২৫), তার শিশু ছেলে ইয়াছিন (৮ মাস), মা চায়না খাতুন (৬০), দাদি ফাতেমা বেগম (৬৫), ফুফু আমেনা খাতুন (৩৫) ও আমেনার শিশুসন্তান (৭), সামেদুলের ছেলে নজরুল (৫০) কেরামত আলীর ছেলে ঝিনাইদহ জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্বাস আলী (৫৫), আব্দুল্লাহ (৫) নিহত হয়।

ভৈরবা বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, একসঙ্গে এত মানুষ মারা যেতে পারে প্রথমে আমরা বিশ্বাস করছিলাম না। পরে টেলিভিশনে সংবাদ দেখে বিশ্বাস হয়। তাদের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর এলাকা যেন মৃত্যুপুরী মনে হচ্ছে। সবার মধ্যে শোক ছড়িয়ে পড়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com